নিজস্ব প্রতিবেদক : মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার নিজ গ্রাম বরিশাটে শায়িত হলেন মাগুরার কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাবেক প্রফেসর ড. এম. এ জলিল। ১০ জুন বুধবার বাদ ফজর তাঁকে বরিশাটের ব্যাপারিপাড়া কবরস্থানে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দাফন করা হয়।
৯ জুন দুপুরে এই শিক্ষাবিদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ( ইন্নালিল্লাহী ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন) । তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
শিক্ষাবিদ এমএ জলিল ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকতেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং চার মেয়েকে রেখে গেছেন। তার চার কন্যার দুজন আমেরিকা এবং দুজন কানাডা প্রবাসী। তাঁর ছোট মেয়ে দেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার তাহসীন শাহীন, যিনি ফ্যাশন হাউস ‘সাদাকালো’র স্বত্ত্বাধিকারী। তাঁর অন্য মেয়েরাও উচ্চশিক্ষিতা এবং স্ব-স্ব পেশায় উজ্বলতরো অবস্থানে রয়েছেন। তাঁর দ্বিতীয় কন্যা কানাডা প্রবাসী লেখিকা লুনা শিরিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের কৃতিছাত্র, শিক্ষাবিদ ড. এম. এ জলিল দীর্ঘদিন অধ্যাপনার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, রংপুর কারমাইকেল কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা করেন। ৮০ সালে ভারতের হায়দারাবাদ থেকে অর্থনীতিতে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন ।
এ ছাড়াও তিনি পেশাগত জীবনে পিএটিসির পরিচালক ও নায়েম-এর ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি প্রাইম ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, সংগঠন, পদ্ধতি, কর্মমুখী শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা ধর্মী লেখালেখি করতেন। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জার্নালেও শিক্ষা বিষয়ক তাঁর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
পরিশীলিত ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের এই মানুষটি ঢাকাস্থ মাগুরা জেলা সমিতি গঠনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। দীর্ঘদিন তিনি আহবায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। শ্রীপুরের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করতে তিনি কম্পিউটর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনেও সহযোগিতা করেন। তিনি বাংলাদেশ অর্থনীতি শিক্ষক সমিতি, মাগুরা জেলা সমিতিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ঢাকাস্থ বৃহত্তর যশোর জেলা সমিতি, ঢাকাস্থ মাগুরা জেলা সমিতি, মাগুরা জেলা জাসদ, অধিনায়ক আকবর হোসেন স্মৃতি পরিষদসহ বৃহত্তর যশোর জেলা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী রফিকুল ইসলাম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।