মাগুরা প্রতিদিন : মাগুরার হাজরাপুরী লিচুর জিআই স্বীকৃতি চেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস (ডিপিডিটি) বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
২৩ আগস্ট মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগের পক্ষে আবেদনপত্রটি দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মাগুরার স্থানীয় জাত হাজরাপুরী লিচুর ডকুমেন্টেশন তৈরি ও আবেদনসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নে সহযোগিতা করছে ঢাকার ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)।
দেশের যেকোন লিচুর তুলনায় মাগুরার হাজরাপুরের লিচুর স্বাদ অনন্য। এই লিচু টসটসে রসে ভরপুর। আকার ও আকৃতিতেও বড়। হাজরাপুরী লিচুর স্বাদ দেশের অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া ভার।
এ ব্যাপারে ইডিসির সদস্য ও আলিয়া’স কালেকশনের স্বত্বাধিকারী জেনিস তানিয়া বলেন, “হাজরাপুরের লিচুর স্বাদ দেশের যেকোন লিচুর চেয়ে স্বতন্ত্র। আগাম পেকে যাওয়ায় এটির বিপনন থেকে লিচু চাষি এবং ব্যবসায়ীরা অধিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। জিআই আবেদন হওয়ার ফলে এই লিচুর ব্র্যান্ডিং ও চাহিদা সারাদেশে বাড়বে। পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার কারণে খুব সহজে সারাদেশে ডেলিভারি করতে পারবে ই-কমার্স উদ্যোক্তারা।”
উল্লেখ যে, জিআই পণ্য হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য দেওয়া হয় না। উৎপাদকদের স্বার্থ রক্ষার্থে রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত সমিতি অথবা সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান (ডিসি অফিস, বিসিক, অধিদপ্তর ইত্যাদি) জিআই স্বীকৃতির আবেদন করতে পারে। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সকল যাচাই ও প্রক্রিয়া শেষ করে পণ্যটিকে জিআই নিবন্ধন দেওয়া হয়। দেশের সর্বশেষ জিআই পণ্য নাটোরের কাঁচাগোল্লা।