মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে আক্রান্তের হার গত বছরের তুলনায় কমে আসলেও মার্চ মাসে আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন ইউনিটগুলো নতুন করে একটিভ করা হচ্ছে।
মাগুরা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মাগুরায় কোভিড-১৯ ভাইরাস আক্রান্ত ৩২ জনকে সনাক্ত করা হয়। কিন্তু নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে সেটি কমে আসে। ওই মাসে সনাক্ত হয় ১৩ জন। আর ফেব্রæয়ারি মাসে মাত্র ৪ জন। কিন্তু চলতি মার্চ মাসের ১৫ দিনেই সনাক্ত হয়েছে ৮ জন আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে ২ জন ১৩ মার্চ এবং বাকি ৬ জন ১৫ মার্চ তারিখে।
সূত্র মতে, ২০২০ সনের শেষ মাস ডিসেম্বরে সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা এবং প্রাপ্ত পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। পরের মাস অর্থাৎ ২০২১ সনের জানুয়ারি মাসে সেই হার নেমে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশে। একইভাবে ফেব্রুয়ারি মাসে আরও নেমে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ দেখা যায়। কিন্তু মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিনে সন্দেহভাজন ১০৪ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হলে এর মধ্যে ৮ জন পজিটিভ হিসেবে সনাক্ত হয়েছে। যার শতাকরা হার ৭ দশমিক ৭০।
এ অবস্থায় চলতি বছরের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে আক্রান্তের হার কম দেখা গেলেও মার্চ মাসে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে কোভিড-১৯ ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যবিভাগ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখছে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মাগুরার স্বাস্থ্যবিভাগ কাজ করছে। পাশাপাশি জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। করোনা প্রাদূর্ভাব বৃদ্ধির কারণ এবং নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ সমূহ চিহ্নিত করণ ও প্রতিরোধে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ওই সভাতে।
এছাড়াও কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন ইউনিটগুলো সক্রিয় করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
অন্যদিকে মাগুরা জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলম বিষয়টিকে উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
মাগুরা জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৬১৩৯ জনের নমুনা পরী¶া থেকে ১০৬৮ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে সনাক্ত হয়। এর মধ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি আক্রান্ত ১০৪৬ জনের মধ্যে ১০৩৮ জনই সুস্থ্য হয়ে গেছে। ৩ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং ৫ জনকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।