মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরায় সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ল্যাবরেটরিতে রসায়ন শিক্ষকের তত্ত¡াবধানে উৎপাদন করা হচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার।
জেলা যুব রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা গত দুইদিনে সেখানে উৎপাদন করেছে প্রায় ৪ হাজার হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার। যা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে।
মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রসায়ন ল্যাবরেটারিতে উৎপাদিত হ্যাণ্ড স্যানিটাইজারের মূল উপাদান অ্যালকোহল। মাগুরা জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলম স্থানীয় নিবন্ধিত ডিলারের মাধ্যমে এই অ্যালকোহল সংগ্রহ করেছেন দর্শনার কেরু এণ্ড কোম্পানি থেকে। আর প্লাস্টিটের বোতল সংগ্রহ করা হয়েছে ঝিনাইদহের একটি কোম্পানি থেকে।
প্রাথমিকভাবে ৮ হাজার বোতল হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের জন্যে কাঁচামালসহ যাবতীয় ব্যায় বহন করছে জেলা পরিষদ। স্বে চ্ছায় শ্রম দিচ্ছে যুব রেডক্রিসেন্টের ২০ জন সদস্য। কেমিস্টের দায়িত্ব পালন করছেন এই কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলমগির কবির।
ল্যাবরেটরিতে স্বেচ্ছায় কর্মরত যুব রেডক্রিসেন্ট সদস্য সম্পা মজুমদার বলেন, দেশের এই সংকটের মুহূর্তে কাজ করতে পেরে নিজেকে খুবই সৌভাগ্যমান বলে মনে হচ্ছে। অন্যদিকে এই কাজটি করে বেশ আনন্দ উপভোগ করছেন বলে জানালেন অপর রেডক্রিসেন্ট সদস্য সুমন। একই রকম অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন সেখানকার সকল সদস্যই।
ল্যাবরেটরির কেমিস্ট মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আলমগির কবির জানান, এই ল্যাবে উৎপাদিত হ্যাণ্ড স্যানিটাইজারের ৯৫ শতাংশই অ্যালকোহল। অতিরিক্ত কোনো সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়নি। এতে করে বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন স্যানিটাইজারের সাথে তুলনা করলে এটি অধিক কার্যকর।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান খোকন বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রি। এ অবস্থায় স্থানীয় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে। তবে জেলা প্রশাসক প্রশাসনিক সহায়তা না দিলে সেটি কোনো ভাবেই করা সম্ভব হতো না।
প্রাথমিকভাবে কলেজ ল্যাবরেটরিতে ৮ হাজার হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর্থিক অনুদান পাওয়া গেলে অধিক পরিমাণ উৎপাদিত স্যানিটাইজার সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।