মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরায় জেলা প্রশাসনের শুভেচ্ছা দূত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩শত ৭৫ জন ছাত্রী। বৃহস্পতিবার ওইসব শিক্ষার্থিদের মাঝে বিতরণ করা হয় পিংক কালারের একটি করে বাইসাইকেল এবং ক্যাপ।
মাগুরার সদর উপজেলার ৬৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দরিদ্র এবং মেধাবি এই শিক্ষার্থিরা নারীর ক্ষমতায়ন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাল্যবিবাহ এবং মাদক বিরোধী নানা প্রচারণায় অংশ নেবে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরায় মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে ওইসব শিক্ষার্থিদের নিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর রিপা নামে একজন শিক্ষার্থির মাথায় শুভেচ্ছা দূতের ক্যাপ পরিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
পরে শহরের নোমানি ময়দানে নির্বাচিত সকল শুভেচ্ছা দূতের মাঝে বিতরণ করা হয় নানা স্লোগান সংবলিত পিংক রঙের বাইসাইকেল।
প্রশাসনের কাছ থেকে শুভেচ্ছা দূতের স্বীকৃতি পেয়ে এসব শিক্ষার্থিরা যেমন গৌরব বোধ করছে তেমনি বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্যে একটি মূল্যবান বাইসাইকেল পেয়ে খুশি তারা।
শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে হাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থি আইরিন নবম শ্রেণীর আইরিন খাতুন। সদর উপজেলার বরইচারা গ্রামের সাহেব মোল্যার মেয়ে আইরিন জানান, প্রায় দুই কিলোমিটার পথ হেটে প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয়। সময়মতো স্কুলে পৌছানো কষ্টকর। এখন বাইসাইকেলটি পেয়ে ভালো হলো।
নারীর ক্ষমতায়ন এবং শুভেচ্ছা দূত নির্বাচনের বিষয়ে মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেন, এ অঞ্চলের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে বাল্য বিবাহ। মাগুরাকে বাল্যবিবাহমুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়েও পুরোপুরি সফল হওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, শুধু আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা সম্ভব নয়। বিধায় যারা এর শিকার হচ্ছে তাদেরকেই শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে প্রচারণার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ থেকে ইতিবাচক ফল আসবে বলে বিশ্বাস।
এলজিএসপি’র অর্থায়নে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে প্রথম পর্যায়ে ৩ শত ৭৫ জন ছাত্রীর মধ্যে সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।