মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : এ বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে বিয়ে হয়েছে তমার। সেদিন নতুন শাড়ি পরে বউ সেজে গেছে শ্বশুরবাড়ি। ঠিক তিনমাস পর একই দিনে তার মরদেহ পড়ে আছে মর্গের সামনে। নিথর। মানুডোম আসলে ব্যাবচ্ছেদ করা হবে শরীর। ডাক্তার পরীক্ষার পর বলবেন কেমন করে হয়েছে তার মৃত্যুটি।
পরিবারের লোকেরা অনেক খোঁজখবর নিয়ে দেখেশুনেই মেয়ে তমাকে বিয়ে দিয়েছিলেন মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের টিপু মোল্যার ছেলে নাঈমের সঙ্গে। অথচ একটি মটর সাইকেল দাবি করে না পাওয়ায় জামাই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানায়, নিহত গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস তমা (১৮) মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের রাশেদুল ইসলাম কনা’র মেয়ে। নাঈমের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় বলে নিহত তমার পরিবার দাবি করেছে।
নিহত তমার বাবা রাশেদুল ইসলাম কনা জানান, জামাই নাঈম নানাভাবে তমার কাছে টাকা পয়সা দাবি করে। দু-সপ্তাহ আগে সে আমার মেয়ের মাধ্যমে একটি মোটর সাইকেল দাবি করেছে। দেবো না সেটি বলিনি। কিন্তু দিতে দেরি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে মেয়ের সাথে নাঈমের মনোমালিন্যও হয়। যার সূত্র ধরে বুধবার রাতে নাঈম তমাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।
মেয়ে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড দাবি করে বাবা রাশেদুল ইসলাম ন্যায় বিচার চেয়েছেন। মামলাও করবেন বলে জানালেন তিনি। তবে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তমার স্বামী নাঈমকে।
মাগুরা সদর থানার এস.আই আলমগীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গলার ডান পাশে একাধিক নখের আচড় ও হাতে ফোস্কার দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি পরিস্কার জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যার ঘটনা।
থানায় এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।