মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরায় হঠাৎ লকডাউনে বেশ বেকায়দায় পড়েছে শহরের রেড জোন পিটিআই ও খানপাড়া এলাকার সাধারণ মানুষ। নিরুপায় হয়ে সেখানকার অনেকেই লকডাউন ভেঙ্গে বের হতে বাধ্য হচ্ছে।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে মাগুরার নাম না থাকলেও জেলা শহরের পিটিআই পাড়া এবং খানপাড়া এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে রবিবার বিকাল থেকে ২১ দিনের জন্যে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. প্রদীপ কুমার সাহা জানান, ওই এলাকায় ০৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে এলাকাটিকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করণের পাশাপাশি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এলাকাটি বেশ ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় সংক্রমন রোধে ১৪ দিনের সাথে আরো ৭ দিন যোগ করে ২১ দিনের জন্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে সদর উপজেলা প্রশাসন চিহ্নিত এলাকাটির সকল প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি সেখানে শতর্কতামূলক ব্যানার লটকিয়ে দিয়েছে।
তবে সোমবার সকালে লকডাউন এলাকার প্রবেশপথগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ওই এলাকার কর্মজীবী অনেকেই বেরিকেড ভেঙ্গে কাজে যাচ্ছে। আবার বাজার সদায় করতেও এলাকার নারী পুরুষদের বের হতে দেখা যায়। প্রবেশপথ গুলোতে কোনো প্রহরার ব্যবস্থা না থাকায় হরহামেশা সংক্রমিত এলাকার মানুষের অবাধ চলাচলে লক ডাউনের কার্যকরিতা নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় দেখা দিয়েছে।
সংক্রমিক এলাকার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মচারি আরিফুল ইসলাম বলেন, রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদের জন্যে ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। বিধায় অফিসে যেতেই হচ্ছে।
ওই এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভি মাইদুল ইসলাম বলেন, ব্যাচেলর জীবন যাপন করি। বাসাতে রান্না হয়না। হোটেলে যেয়েই খেতে হয়। এখন খাওয়ার জন্যে বাইরে না গেলে অন্য কোনো উপায় নেই।
টেলি কমিউনিকেশন বিভাগে কর্মরত সোহেল বলেন, কোনো ঘোষণা ছাড়া লক ডাউন দেয়ায় বিপদে পড়ে গেছি। কোনো প্রস্তুতিই নেই আমার কিংবা পরিবারের কারোরই। নানা দূর্ভেোগে পড়তে হচ্ছে এখন।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, প্রবেশমুখে প্রহরার পাশাপাশি ওই এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্যে সেখানে সার্বক্ষণিকভাবে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কিছু সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সংক্রমন রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।