মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরায় মহম্মদপুর উপজেলার ইন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদারাসার শিক্ষক মওলানা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থিকে নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ জানানো হলেও গত ৪ দিনেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় পরিবারের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শিশুটির পরিবার এবং এলাকাবাসি জানায়, মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদরাসায় অন্তত ৩৫টি শিশুকে কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। যেখানে আবাসিক ছাত্রাবাসে ওইসব শিশুরা অবস্থান করে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু ওই মাদরাসার শিক্ষক মওলানা শরিফুল ইসলাম গত সোমবার রাতে নয়ন (১২) নামে এক শিশুকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা করে। এ ঘটনার পর রাতেই শিশুটি মাদরাসা ছেড়ে তার গ্রামের বাড়ি চাকুলিয়া ফিরে বাবার কাছে অভিযোগ করে। বিষয়টি জানতে পেরে এবং অবস্থা বেগতিক দেখে পরদিন মঙ্গলবার থেকেই মাদরাসা শিক্ষক শরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। এতে করে গত চারদিন ধরেই ওই এতিমখানা ও মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
শিশুটির বাবা চাকুলিয়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক ইব্রাহিম জানান, আমার ছেলে ব্রাকের স্কুলে ৫ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। সেখান থেকে ছাড়িয়ে হাফেজ বানাবার জন্যে তাকে দুই বছর আগে মাদরাসাতে দিয়েছি। কিন্তু মাদরাসার হুজুর আমার ছেলের সঙ্গে বাজে কাজ করায় রাতের বেলা ছেলেটি কাঁদতে কাঁদতে হেটেই বাড়ি ফিরে এসেছে। এ বিষয়ে মাদরাসার সভাপতির কাছে নালিশ করলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। উলটো তিনি মাদরাসার হুজুরকে নিরাপদে সরিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে মাদরাসার সভাপতি মওলানা কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক থাকায় কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাছাড়া একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষের দোষ ত্রæটি গোপন রাখা উচিত। বিধায় এ বিষয়ে থানা পুলিশ করা হয়নি।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চারদিন ধরে পলাতক অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক শরিফুল ইসলাম নড়াইল জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চাচই গ্রামের ফুলমিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।