নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ না করেও মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চমক দেখিয়েছেন পান্না খাতুন। তিনি এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
তবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বাইরে তার এই মনোনয়নে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
সব্দালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানান, ২৩ ডিসেম্বর মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাশী ৬ জন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। তার মধ্যে পান্না খাতুন একজন। কিন্তু নির্ধারিত ফরম পূরণের পর দাখিলের সময় তিনি নিজেকে সব্দালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দেন। এ অবস্থায় পান্না খাতুন দলীয় মনোনয়ন চাওয়ায় পান্না খাতুনের নামটি ৬ নম্বরে রেখে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে তালিকা জমা দেয়া হয়। অথচ সবাইকে বাদ দিয়ে তাকেই দেয়া হয়েছে দলীয় মনোনয়ন।
সব্দালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মিল্টন জানান, পান্না খাতুন আওয়ামী লীগের কেউ নন। তিনি আমার স্বাক্ষর জাল করে নিজেকে সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে কাগজপত্র জমা দেন। যে বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিলো। অথচ রহস্যজনক কারণে তার নামটি নির্বাচিত করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোসেন মোল্যা দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ হতাশ হয়েছেন। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি হিসেবে বিগত দিনে বড় ভূমিকা রাখলেও তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। একইভাবে বঞ্চিত হয়েছেন শেষ জীবনে একবারের জন্য মনোনয়ন চাওয়া নোহাটা গ্রামের বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোল্যা ওসমান গণি দুলাল। বঞ্চিত হয়েছেন তরুণ নেতা আনিসুর রহমান কনকও। আর চমক দেখিয়েছেন ৬ নম্বরে থাকা পান্না খাতুন।
এ অবস্থায় সব্দালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মাঝে তীব্র হতাশা নেমে এসেছে। অনেকেই এ বিষয়ে ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রশ্ন করেছেন ‘সারা ইউনিয়নে কি একজন নিবেদিত আওয়ামী লীগ কর্মী পাওয়া গেল না?’ এদিকে পান্না খাতুন মনোনয়ন পাওয়ায় তার সমর্থকেরা বেশ খুশিই হয়েছেন।
এ বিষয়ে পান্না খাতুনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ছাত্রাবস্থা থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে দাবি করেছেন তার স্বামী সব্দালপুুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম।