মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও প্রতিবেদক আল-আমিনসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।
তবে মামলায় মতিউর রহমান চৌধুরীকে মানবজমিনের সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ৩০ জনের পরিচয় অজ্ঞাত উল্লেখ করে তাদের ফেসবুক আইডি’র লিংক দেওয়া হয়েছে মামলার বিবরণীতে।
মতিউর রহমান চৌধুরী ও আল-আমিনের বিরুদ্ধে তাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ আনা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায়।
অন্যদিকে বাকি ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা গত ২২ ফেব্রুয়ারি র্যাবের হাতে আটক মহিলা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা শামীমা নূর পাপিয়ার ‘ওয়েস্টিনের ডেরায়’ যাতায়াতকারীদের একটি ‘ভুয়া’ তালিকা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।
৯ মার্চ সোমবার রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সী সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানে আলম মুন্সি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলাটির নম্বর ১৯।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে অনলাইন মাধ্যমে মিথ্যা ও অসত্য সংবাদ প্রকাশ করায় তার মানহানি হয়োছে। এজন্য তিনি থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মতিউর রহমান চৌধুরীর নির্দেশে আল-আমিন নামে একজন প্রতিবেদক ‘পাপিয়ার মুখে আমলা, এমপি, ব্যবসায়ীসহ ৩০ জনের নাম’ শীর্ষক সংবাদ পরিবেশন করে। এতে ইঙ্গিতপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন করা হয় এবং কিছুসংখ্যক সংসদ সদস্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এই সংবাদ প্রকাশের পর মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে উল্লেখ করা বাকি ৩০ জন ওই সংবাদসহ ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি তালিকা প্রচার ও শেয়ার করে যাচ্ছে। এই তালিকায় তার নিজের নামও দেখতে পান এমপি শিখর। এই তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও অমান-অপদস্থ করা হয়েছে এবং সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে অভিযোগ করে মামলাটি দায়ের করেছেন উল্লেখ করেন শিখর।
মামলায় মতিউর রহমান চৌধুরী ও আল-আমিন ছাড়া বাকি যে ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তারা হলেন— শফিকুল ইসলাম কাজল, প্রিন্স ফাহিম, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ফরহাদ খান, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মদ মোসলেম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মোর্সেদ আলম, কাকন আবু হানিফ, মো, রুবেল, আয়েশা আমান, মোহাম্মদ শামিম আক্তার, মো. সাত্তার মৃধা, মো. তৌফিক, মিলি হাসান, হাবিব আদনান, ঋষি কান্ত, মো. সোহেল হোসেন, ছালে আহমেদ, জসিম উদ্দিন জসিম, মো. খাইরুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম, মো. মাহফুজ আহমেদ, এম এ মামুন, মো. হেলাল, সেলিম চৌধুরী, ইস্পাত মোহাম্মদ, বেলায়েত হোসেন, মারুফ রাজু ও মকটেল হাসান মুক্তি। তাদের প্রত্যেকের পরিচয় অজ্ঞাত উল্লেখ করে ফেসবুক আইডি’র লিংক উল্লেখ করা হয়েছে মামলার বিবরণীতে।
পুলিশ এরই মধ্যে মামলার তদন্ত শুরু করেছে বলেও ওসি জানান।