মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মেধাবি হাসিখুশি মেয়েটি কেমন শান্ত হয়ে গেছে। শুয়ে আছে হাসপাতালের বিছানায়। মাগুরার কৃতি সন্তান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থি প্রিয়াঙ্কার চিকিত্সা এখন অর্থাভাবে থেমে যাবার অবস্থায় ।
একিউট লিউকেমিয়া (ব্লাড ক্যান্সার) রোগে আক্রান্ত প্রিয়াঙ্কা বর্তমানে ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আছেন।
মাগুরার শালিখা উপজেলার বাউলিয়া গ্রামের মেয়ে প্রিয়াংকা রায়। বাবা স্বাধীন রায় যশোরের আগড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।
লেখাপড়ায় ভাল প্রিয়াঙ্কার পড়াশোনাও এগিয়ে চলছিল। কিন্তু হঠাৎই ধরা পড়লো ক্যান্সার। তারপর থেকে সব উলটপালট। তবে প্রিয়াংকা রায় এখানেই থেমে যেতে চান না। তিনি বাঁচতে চান। পড়াশুনা করে স্বপ্নকে ছুতে চান। মেধাবী ছাত্রী প্রিয়াংকা তিন বোন এবং এক ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়। তার দুই বোন এবং ভাই শিক্ষারত অবস্থায় আছেন।
প্রিয়াংকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিভাগে ১ম স্থান অধিকারী ছাত্রী। একাধিক সেমিস্টারে সিজিপিএ ৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ৩ জুলাই প্রিয়াংকা রায়ের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রিয়াংকা একিউট লিউকেমিয়া (ব্লাড ক্যান্সার) রোগে আক্রান্ত। ২ মাসের চিকিৎসায় তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে আরো তিনটি কেমো প্রয়োজন। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন আনুমানিক ২০ লাখ টাকা।
এদিকে বেতনের টাকায় মেয়ের চিকিত্সা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে স্কুল শিক্ষক বাবার পক্ষে। ইতোমধ্যে তিনি মেয়ের চিকিত্সার খরচ যোগাতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হওয়ার পথে।
বাবা স্বাধীন রায় বলেন, সকলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াসে আমাদের মাঝে আবারো ফিরে আসবে প্রিয়াংকা। তার স্বপ্ন জড়ান ক্যাম্পাসে ভবিষ্যতে দেশসেবায় ব্রতী নিয়ে কাজ করে যাবে। এ জন্য সবার একটু আন্তরিক চেষ্টা ও সাহায্য বাঁচাতে পারে একটি সুন্দর জীবন। প্রিয়াংকার পরিবার সবার কাছে সাহায্যের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব তার জীবনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছে।
প্রিয়াংকার জীবন যেন অর্থের কাছে হেরে না যায়। আর্থিক সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম: রকেট-০১৭৪০৪৬৭০২৯০, বিকাশ-০১৯৫৬৫৮১৩৭৫ (এখানে সকল মোবাইল একাউন্ট পার্সোনাল এবং ফার্মেসি ৪র্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের)। ব্যাংক একাউন্ট: ০২০০০০৬১২৯৩৫৩, মারিয়া রামান মুন। অগ্রণী ব্যাংক। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।