মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরার শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দীঘল গ্রামের ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
হামলায় আহতদের মধ্যে ৪ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া লুৎফর বিশ্বাস নামে একজনের অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ওদুদ বিশ্বাস, রবিউল ইসলাম সহ অন্যান্যরা জানান, তালখড়ি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজ উদ্দিন মণ্ডল এবারও চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকের নির্বাচন করছেন। কিন্তু তার বিরোধিতা করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন একই ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি মজনু মিয়া। যা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা চলছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ওই ইউনিয়নের দীঘলগ্রামে মজনু মিয়ার সমর্থকরা ফুটবল প্রতিকের সমর্থনে নির্বাচনী অফিস বানিয়ে প্রচারণা শুরু করে। এতে নৌকা সমর্থিতরা ক্ষুব্ধ হয়। যার জের ধরে আসরের নামাজের সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা ফুটবল প্রতীকের ওই নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা রেশমা খাতুন, রবিউল বিশ্বাস, রফিকুল বিশ্বাস, লুৎফর বিশ্বাস, ওদুদ বিশ্বাসকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে এলাকাবাসি তাদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এদের মধ্যে দীঘলগ্রামের সত্তার বিশ্বাসের ছেলে লুৎফর বিশ্বাসের অবস্থা আশঙ্কাজন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করার সুযোগ দাবি করেছেন এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মজনু মিয়া।
তবে এই হামলার ঘটনাটি নির্বাচন কেন্দ্রীক নয়; পুরণো বিরোধের জের বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সিরাজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে সাব্বির হোসেন বিপ্লব।
তিনি বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন নির্বাচনী পরিবেশ অশান্ত করে ভোট অনুকুলে নেওয়ার অশুভ পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এটি তারই অংশ।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারক বিশ্বাস বলেন, চায়ের দোকানে তর্ক বিতর্কের সূত্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। সুনির্দিষ্টি অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।