মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরার শালিখায় পরীক্ষা চলাকালে নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিদের বেয়াদপ বলে তিরস্কার করায় শ্রীপতি বিশ্বাস নামে এক শিক্ষকের ঠোট কামড়িয়ে ছিড়ে নিয়েছে উজ্জ্বল মজুমদার নামে অপর শিক্ষক। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শ্রীপতি বিশ্বাস শালিখা উপজেলার নাঘোষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবং উজ্জ্বল মজুমদার একই উপজেলার মশাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
ঘটনাটি সোমবার সন্ধ্যায় শালিখা উপজেলার ধনেশ্বরগাতি বাজারে।
স্থানীয়রা জানায়, শালিখা উপজেলার মশাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিরা একই উপজেলার থৈপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। থৈপাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রের যে কক্ষে মশাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিরা পরীক্ষা দিচ্ছে সেখানে সোমবারের বাংলা পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন নাঘোষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রীপতি বিশ্বাস। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালে কক্ষের মধ্যে উচ্চস্বরে কথা বলায় দায়িত্বরত শিক্ষক শ্রীপতি বিশ্বাস তাদেরকে বেয়াদপ বলে গালমন্দ করেন। পরীক্ষা শেষে এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থিরা তাদের স্কুলের শিক্ষক উজ্জ্বল মজুমদারের কাছে নালিশ করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উজ্জ্¦ল মজুমদার ধনেশ্বরগাতি বাজারে শ্রীপতি বিশ্বাসকে পেয়ে হামলা চালায়।
মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিত্সাধিন শিক্ষক শ্রীপতি বিশ্বাস বলেন, মশাখালি স্কুলের শিক্ষক উজ্জ্বলের সঙ্গে আমার কাকা-ভাস্তের সম্পর্ক। কোন রকম বিরোধ নেই। অথচ তার স্কুলের ছেলে মেয়েদের বকাঝকা করেছি এতেই সে অন্যায়ভাবে আমাকে মারধর ছাড়াও মুখে কামড় দিয়ে ঠোট ছিড়ে ফেলেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক উজ্জ্বল মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শ্রীপতি শুধু শিক্ষার্থিদের বেয়াদপ বলেছে তা নয়। স্কুলের শিক্ষকদের নামেও খারাপ কথা বলেছে শিক্ষার্থিদের সামনে।
তবে কামড়িয়ে ঠোট ছিড়ে ফেলার বিষয়টি অস্বীকার করে উজ্জ্বল মজুমদার বলেন, মারামারির সময় পড়ে গিয়ে কেটে যেতে পারে।
গুরুতর জখম শ্রীপতি বিশ্বাসকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিত্সা শেষে মঙ্গলবার তাকে উন্নত চিকিত্সার জন্যে রেফার্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে এ ঘটনায় শালিখা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে।