কাসেমুর রহমান শ্রাবণ : গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে মাগুরার গরম পোশাকের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে কেনাকাটা। আর কম মূল্যে কাপড় কেনার জন্য লোকজন ভিড় করছে শহরের বিভিন্ন জায়গার ছোট, বড় সব ফুটপাত গুলোতে। যেখানে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের কাপড়-চোপড় কেনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তবে দাম বিগত সময়ের চেয়ে বেশি বলে জানালেন সাধারণ ক্রেতারা।
শহরের বিভিন্ন স্থানে এসব দোকান গুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। জেলার সকল হাট-বাজারগুলোতে ও ভানে করে শহর থেকে গ্রামে শীতের পোশাক আমদানি ও বেচাকেনা শুরু হয়েছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারে লোকজন এসব দোকানের প্রধান ক্রেত্রা। তবে দিনে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা এখানে কাপড় কিনতে লজ্জা পাওয়াই রাতে তারা দোকান গুলোতে ভিড় করে। আর নতুন কাপড়ের দাম বেশি হওয়াই পুরোনা কাপড়ের দোকানের দিকে ঝুঁকছে এসব ক্রেত্রারা। এসব দোকানগুলোতে শিশু, নারী, পুরুষ সহ সব বয়সের মানুষের শীতের পোশাক রয়েছে। কোট, জ্যাকেট, লংকোট, উলের কোট, শর্টকোট, শর্ট জ্যাকেটসহ সব ধরনের পোশাকই পাওয়া যাচ্ছে দোকান গুলোতে। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রাম থেকে মহিলা দল বেধে আসছে এসব দোকান গুলোতে গরম কাপড় কিনতে।
শহরের থানার সামনের দোকানে কাপড় কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, বড় মার্কেটের কাঁচঘেরা দোকান গুলোর তুলনায় এখানে অনেক কম দামে ভাল কাপড় পাওয়া যায়। প্রতিবারের মতো এবারও এখান থেকে কাপড় কিনবো ভাবছি। তবে গতবারের চেয়ে শিত বস্ত্রের দাম একটু বেশি।
মায়ের জন্য কাপড় কিনতে আসা ভ্যান চালক সামাদ বলেন, আমি গরিব মানুষ । বড় মার্কেটগুলোতে কাপড়ের দাম বেশি। তাই বিদ্ধ মায়ের জন্য এখানে এসেছি একটু কম দামে কিনতে।
কাপড় কিনতে আসা রুপালি খাতুন বলেন, আমার চার বছরের ছেলের জন্য শীতের গরম কাপড় কিনতে এসেছি। গত বছর একটা কিনেছিলাম। সেটা ছোট হওয়াই এবছর একটা কিনতে আসলাম। এছাড়া ভালো লাগলে নিজের জন্য একটা কিনবো।
ফুটপাতের দোকানদার কামরুল মিয়া বলেন, গত শীতে যে মূল্যে মানুষ গরম কাপড় কিনেছে তা এবার পাবেনা। কারণ গতবারের চেয়ে এবার গরম কাপড়ের বেল্ট বেমি দাম ধরছে পাইকাররা।
আরেক দোকান দার হাসান আলী বলেন, গত কয়েক দিনের শীতের কারণে বিক্রি ভালই হচ্ছে। তাছাড়া মোকামে দাম বেশির কারণে আমাদেরকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, মূল্য যাই হোক না কেন দোকানের চেয়ে ফুটপাতে অনেক কমমূল্যে গরম কাপড় পাওয়া যায়। আর শীতর তীব্রতা বেড়ে গেলে আরো ভিড় হবে বলে আশা করেন ফুটপাতে বিক্রেতারা।