মাগুরা প্রতিদিন : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরিশাট গ্রামে স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতার আধিপত্য বিস্তারের জেরে অন্তত ৬০টি বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে দফায় দফায় চলা হামলা ও সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন কমবেশি আহত হয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানায়, উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম। কিন্তু বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাকে বাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী তারিকুল ইসলামকে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী করা হয়। যা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি। এর জেরে নির্বাচনের পর থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি উভয় পক্ষই নিজেদের দল ভারি করতে তোড়জোড় শুরু করে। যার জেরে বুধবার সকালে উভয় পক্ষ নতুন করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় কাজি তারেক সমর্থক বরিশাট গ্রামের জামিরুল ইসলাম, ছামিরুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, জাকির মোল্যা, গোলাপ, আলী মোল্যা, ওয়াজেদ, জনি শেখ, হাসান, মিলনসহ অন্তত ৩০ জনের বাড়িঘর, আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর এবং নগদ অর্থ ও গরু-ছাগল লুটপাটের ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে প্রতি হামলায় মোস্তাসিম বিল্লাহ সমর্থক একই গ্রামের হারেজ মুন্সী, কোবাদ মুন্সী, রায়হান, আয়নাল, বিল্লাল, সোহেল, মিন্টু খন্দকার, রুবেল, শফিউল্লাহ, আতিয়ার, ফারুকসহ অন্তত আরো অন্তত ৩০ টি বাড়ি-ঘরে ভাংচুর ও লুটপাটের শিকার হয়।
খবর পেয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের ছোড়া সর্টগানের গুলিতে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের নেতা কাজী তারিকুল এবং মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম উভয়ই প্রতিপক্ষকে দায়ি করে বক্তব্য রেখেছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার রায় সর্টগানের গুলি নিক্ষেপের সত্যতা স্বীকার করে বলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।