মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ, খৃস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট রানা দাস আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বের জন্যে ৩০ টি আসন বরাদ্দের দাবি করেছেন। পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনকারীদের কোন রাজণৈতিক দল মনোনয়ন দিলে তাদেরকেও বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার মাগুরার শ্রীপুরে উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এই দাবি জানান।
বিকালে শ্রীপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে শিশির কুমার শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি রানা দাসগুপ্ত বলেন, ধর্মীয় বৈষম্য দূর করার জন্য পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ হয়েছিল। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ১৯৭৫ সাল পরবর্তিতে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর সংখ্যালঘুরা তাদের মর্যাদা ফিরে পেয়েছে। কিন্তু সেটি আরো সুদৃঢ় করতে জাতীয় সংসদে ৩০ টি আসন বরাদ্দের দাবি আমাদের।
রানা দাস গুপ্ত বলেন, যুদ্ধাপরাধিদের বিচার নিশ্চিত করার জন্যে আমরা বর্তমান সরকারকে সমর্থন করি। তবে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনকারী সে যে দলেরই হোকনা কেন তাকে আমরা বয়কট করবো।
শ্রীপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক এই সম্মেলনের উদ্বোধন করে মাগুরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু। অন্যদিকে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।
শ্রীপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অপূর্ব মিত্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারি পুলিশ সুপার কাজী আহসান হাবিব, হিন্দু বৌদ্ধ, খৃস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া রাণী সাহা, যুব ঐক্যের কেন্দ্রীয় সভাপতি পঙ্কজ সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট প্রদ্যুৎ কুমার সিংহ, সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কুণ্ডু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, আমলসার ইউপি চেয়ারম্যান সেবানন্দ বিশ্বাস, মনোরঞ্জন সরকার প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে শিশির কুমার শিকদারকে সভাপতি, মনোরঞ্জন সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে পূজা উদযাপন পরিষদ এবং অপূর্ব মিত্রকে সভাপতি ও নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক করে হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ এবং রথীন্দ্রনাথ রায়কে সভাপতি ও সুজিত কুমার ঘোষকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যুব ঐক্য পরিষদে ৩ টি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়।