মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : ১৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মাগুরাসহ দেশের খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের ২৬ জেলার সকল পেট্রোল পাম্পে রবিবার সকাল থেকে চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্যে ধর্মঘট।
বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বানে ধর্মঘটের কারণে রবিবার সকাল ৬টা থেকে সব পেট্রলপাম্পে জ্বালানি তেল বিক্রি, ডিপো থেকে উত্তোলন এবং পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে কারে সড়কে চলাচলকারী সকল ধরণের পরিবহন চালকরা দারুণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ প্রস্তাবিত দাবিগুলো হচ্ছে-জ্বালানি তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ, জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীর কমিশন প্রদানকারী নির্ধারণ, ট্যাংকলরী শ্রমিকদের ৫ লক্ষ টাকা দূর্ঘটনা বিমা প্রথা প্রণয়ন, ট্রাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি, পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণের বিধান বাতিল, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল করণ, পাম্পে অতিরিক্ত টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর থেকে লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, পাম্বের প্রবেশ দ্বারের ইজাহার গ্রহণের বিধান বাতিল, আণ্ডার গ্রাউণ্ড ট্রাংক প্রতি ৫ বছর অন্তর ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, পুলিশী হয়রানি বন্ধ, ডিলার কিংবা এজেন্টদের হয়রানি বন্ধ, নতুন পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পাম্পের পাশে যেকোন স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তিপত্র সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করণ এবং ট্যাংকলরী থেকে পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধকরণ।
মাগুরা শহরের মেসার্স জামান এণ্ড দত্ত ফিলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী সঞ্জয় দত্ত জানান, বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ১৫ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের সকল পাম্পে রবিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। চলমান ধর্মঘটের কারণে সাধারণ গ্রাহকরা হয়রাণীর শিকার হলেও আমরা ব্যবসায়ীরাও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি বিধায় ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছি।