মুসাফির নজরুল: বাংলাদেশ পরমাণুু কৃষি গবেষণা ইন্সটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালিন ও খরা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল জাতের বীনা-১৯ ধান খরাতেও হবে উচ্চ ফলনশীল। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলার মঘি ইউনয়ন পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান।
বাংলাদেশ পরমাণুু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ময়মনসিংহের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ কামরুজ্জামান মাঠ দিবসে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বীনা মাগুরা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শম্পা রানী ঘোষের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহোল আমীন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহীদ রেজাসহ অন্যরা।
মাঠ দিবসে জানানো হয়, বিনা-১৯ জাতের ধান একদিকে যেমন খরা সহিষ্ণু, অন্যদিকে রোগ ও পোকা মাকড় বিশেষ করে বাদামী গাছ ফড়িং প্রতিরোধী। এছাড়া এটির জীবনকাল মাত্র ৯৫ থেকে ১০০ দিন হওয়ায় আউশ ও আমন মৌসুমের জন্যে এটি খুবই উপযোগী ধান। পাশাপাশি হেক্টরপ্রতি ৫ টন ফলন ও এই ধানের চাল সরু ও সুশ্বাদু হওয়ায় এটি কৃষক ও ভোক্তাদের জন্য উপযোগী একটি জাত। এ কারণে তিন ফসলি জমির ক্ষেত্রে এটি একটি উৎকৃষ্ট জাতের ধান। এই ধান বপন পদ্ধতিতে চাষ করা যায় বিধায় সেচের প্রয়োজন কম হয়। এছাড়া এটি ক্ষরা সহিষ্ণু।