মাগুরা প্রতিদিন ডটকম ডেস্ক : পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে তৈরী পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে দেশের সিংহভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন হচ্ছে। তৈরী পোশাক খাতকে তাই অত্যাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
গত ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা এর কৃতিত্ব দিয়েছেন তৈরী পোশাকের কাঁচামালের ওপর ট্যাক্স কমানোসহ, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, রপ্তানিতে নানাবিধ সুযোগ সুবিধা প্রদানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপসমূহকে।
গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ২ হাজার ৮১২ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় ২০১৬ থেকে ২০১৭ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।
পোশাক খাতের ওপর ভর করে দেশের সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৩ হাজার ৩৭২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় ২০১৬ থেকে ২০১৭ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। ২০১৬ থেকে ২০১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৩ হাজার ১৬২ কোটি ২৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয় এবং সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
পোশাক ছাড়াও পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে গত অর্থবছরে। পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই অর্থবছরেও পোশাক রপ্তানি করে আরো বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ যে সুনাম অর্জন করে চলেছে তা ধরে রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকার।