মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : গ্রামবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাগুরার শালিখা পুলিশ ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। কিন্তু মামলা দায়েরের সময় ইয়াবার পরিমাণ যেমন কমে ২শ ২০ পিস হয়ে গেছে তেমনি মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রদান করায় আসামী করা হয়েছে এক গ্রামবাসীকে। আর এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার আদালতে শালিখা থানার ওসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
মাগুরার বিজ্ঞ দূর্ণীতি দমন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন শালিখা উপজেলার সাবলাট গ্রামের বিশারত মোল্যার ছেলে মহব্বত হোসেন।
অভিযোগে প্রকাশ, গত ৩১ মার্চ তারিখে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং নারায়নগঞ্জের তিন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মাগুরার শালিখা উপজেলার সাবলাট গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী কামরুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে ওই গ্রামের বিশারাত মোল্যার ছেলে মহব্বত হোসেন গ্রামবাসিকে সাথে নিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ওই টেকনাফের সাবরাম শিকদার পাড়ার জামাল হোসেন, একই উপজেলার গুচ্ছগ্রামের সালিমুল্লাহ এবং নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিষনন্দি গ্রামের ইউসুফ আলিকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। কিন্তু এ ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও শালিখা থানার ওসি রবিউল ইসলাম উদ্ধারকৃত ইয়াবার পরিমাণ ২শ ২০ পিস হিসেবে উল্লেখ করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সরিয়ে ফেরেন। অন্যদিকে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ শালিখা থানার ওসি আসামিদের সঙ্গে মহব্বত হোসেনের নামটিও জুড়ে নানাভাবে হয়রানি করছেন। শুধু তাই নয়, মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরবর্তিতে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায়ও করলেও হয়রানি বন্ধ হয়নি। যে কারণে মহব্বত হোসেন বুধবার মাগুরায় আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
শালিখা থানার ওসি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদি মহব্বত হোসেন বলেন, রবিউল ইসলাম এখানে ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই মাদকের ব্যবসা বিস্তার লাভ করেছে। তার মতো দূর্ণীতিপরায়ন ব্যক্তিকে পুলিশের কর্মকর্তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া খুবই জরুরি।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম মামলাটি শত্রæতামূলক বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, এই মামলার বাদি মহব্বত হোসেনের বিরুদ্ধে খুন জখমসহ বিভিন্ন ধরণের ৮টি রয়েছে। তার মতো অসৎ ব্যক্তি এলাকায় আরেকটি খুজে পাওয়া যাবে না। ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুব ভাল ভাবেই অবগত আছেন।
ওসি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার আইনজীবী গোলাম নবী শাহিন জানান, আজ বুধবার আদালতে মামলাটি দাখিল করা হলে দূর্নীতি দমন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক শেখ মফিজুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে দূর্ণীতি দমন কমিশনকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।