মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুরে ফুটবল খেলার বিরোধ নিয়ে ৩ ইউপি মেম্বরের নেতৃত্বে হামলা, পালটা হামলা এবং বাজারে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে বিনোদপুর বি.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ঘুল্লিয়া আলীয়া মাদ্রাসা ও রাঢ়িখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল দলের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় টাইবেকার চলাকালীন সময়ে দুইদলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে রাত আটটার দিকে মহম্মদপুর থানায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় বিরোধ মিটিয়ে দেয়া হয়। অথচ থানা থেকে বেরিয়ে রাঢ়িখালি ফুটবল দল সমর্থিতরা গ্রামে ফেরার পথে উপজেলার যশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে ওই গ্রামের রাজিব, কালাসহ বেশ কয়েকজন হামলার শিকার হয়। পাশাপাশি দুটি মটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়।
ঘুল্লিয়া গ্রামের সমর্থক স্থানীয় ইউপি মেম্বর জাহাঙ্গীর হোসেন এবং রাজন ও বকুল নামে অপর দু’জনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয় বলে আহতরা অভিযোগ করেছেন।
এদিকে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধরা রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বিনোদপুর বাজারে ঘুল্লিয়া গ্রামের ব্যবসায়ীদের ২৫টি দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেছেন।
ওই বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী অনিমেশ রায় অভিযোগ করেন, ইদরিস মেম্বর, মুকুল মেম্বর এবং হাবলু মিয়ার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। শুধু হামলা ভাংচুর করলে কম ক্ষতি হতো। কিন্তু তারা আমার কাপড়ের দোকান সহ বিভিন্ন দোকানের মূল্যবান মালামাল লুট করে পুলিশের সামনেই ভ্যানে করে নিয়ে চলে যায়। যার ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার উর্ধ্বে।
উভয় হামলা ভাংচুরের বিষয়ে অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, বাজারে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ীদের দোকানঘরে একাত্তর সালের মত তান্ডব চালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসীত কুমার রায় জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টি অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।