মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দায়েরপোল গ্রামে বিয়ের আধাঘন্টা পরই মেঘনা খাতুন (১৬) নামে এক কিশোরী বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসি ঘরের পেছনে একটি আম গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করলেও এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে বিচার চেয়েছে মেয়েটির পরিবার।
নিহত কিশোরী বধূ মেঘলা শ্রীপুর সরকারি কলেজের মানবিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
এলাকাবাসি জানায়, দায়েরপোল গ্রামের ফজলু শেখের কিশোরী মেয়ে মেঘনার সঙ্গে প্রতিবেশি চঞ্চল শিকদারের ছেলে আরাফাত রহমান সাব্বিরের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের সূত্রে তারা উভয়ে নিজেদের ইচ্ছায় গত ৭ এপ্রিল মাগুরায় নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। এই বিয়েতে ছেলেটি দেনমোহর হিসেবে মাত্র ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে। যেটি মেনে নেয়নি মেঘনার পরিবারের লোকজন। এ অবস্থায় তারা এলাকার সামাজিক মাতবরদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানালে ১ লক্ষ টাকা ধার্য করে নতুনভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয়।
শনিবার রাত ১০ টার দিকে সাব্বিরের বাড়িতেই এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। কিন্তু বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিবেশিরা বিদায় নিলে রাত ১১ টার দিকে মেয়েটিকে বাড়ির পেছনে একটি আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে শ্রীপুর থানা পুলিশ নববধূর লাশ উদ্ধার করে রবিবার সকালে মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত মেঘনার চাচা আমজাদ শেখ বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ভালো ছিল না বলেই মাত্র ২০ হাজার টাকা দেনমোহর ঠিক করেছিলো। পরে সামাজিক মাতবরদের চাপে ১ লাখ টাকা করতে বাধ্য হয়। যেটি তারা মেনে নিতে পারেনি বলেই সাব্বিরের বাবা-মা মেঘনাকে মেরে ফেলে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
তবে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকদেব রায় বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে সাব্বির এবং তার বাবা-মাকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।