মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরায় স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে নূর আলি (৩৩) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত। উভয় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এবং পরপর সাজাভোগের আদেশের কারণে আসামীকে ৬০ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ প্রণয় কুমার দাশ আসামীর বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক নূল আলি মাগুরার সদর উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের মুরাদ বিশ্বাসের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, স্কুল পড়ুয়া মেয়েটি এবং দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক নূর আলির বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার সীতারাপুর গ্রামে। মেয়েটি ৮ম শ্রেণিতে পড়াকালিন স্কুলে যাওয়া আসার পথে নূর আলি মেয়েটিকে প্রেম নিবেদন করে উত্ত্যক্ত করতো। এ অবস্থায় মেয়েটিকে তার বাবা বোনের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু সেখানে ২০১৪ সালের ৭ জুন সকালে ৯ম শ্রেণিতে পড়াকালিন প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হলে মেয়েটি অপহৃত হয়। নূর আলি মেয়েটিকে মটর সাইকেলে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তিতে সে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
ঘটনার দিন মেয়েটির বাবা শ্রীপুর থানায় নূর আলির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘ ৮ বছর পর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণাদি শেষে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে উভয় অপরাধে দোষি সাবস্থ করে রায় প্রদান করেন। নাবালক মেয়েকে অপহরণের দায়ে তাকে যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস এবং ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
তবে আদালতের এই রায়ে ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল আকবর কল্লোল। তবে মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের পিপি এটিকে দৃষ্টান্তমূলক রায় বলে উল্লেখ করেছেন। নাবালক কোনো শিশুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনাও দণ্ডনীয় অপরাধ সে বিষয়ে এই রায় থেকে সমাজের জন্যে একটি ম্যাসেজ বলে তিনি উল্লেখ করেন।