মাগুরা প্রতিদিন : মাগুরায় লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে ভুল সিজারিয়ান অপারেশনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শায়লা রহমান সেতুর (৩০) নির্মম মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে জাসদ।
৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে মাগুরা জেলা জাসদ আয়োজিত মানবন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা জাসদ সভাপতি সৈয়দ অহিদুল ইসলাম ফণি, সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবতী, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল কুমার বিশ্বাস, সহসভাপতি কবি মিয়া ওয়াহিদ কামাল বাবলু, জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ফিরোজ বক্তব্য প্রদান করেন।
মানববন্ধন সমাবেশে উপস্থিত নিহত সেতুর পিতা জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ফিরোজ অভিযোগ করে বলেন, তাঁর মেয়েকে অপারেশনের নামে সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের অবহেলা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে তাঁর মেয়ে সঠিক চিকিৎসা পায়নি। এটি রীতিমতো হত্যাকাÐ। এই হত্যাকান্ডের দায়ভার চিকিৎসকদের নিতেই হবে।
তিনি তাঁর মেয়ের নির্মম মৃত্যুর কৈফিয়ত দাবি করে বলেন, এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় এ কারণে দোষীদের শাস্তি দিতেই হবে।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ এবং সেতুর চিকিৎসায় চরম অবহেলার তদন্ত ও বিচার দাবি করে বক্তব্য প্রদান করেন মাগুরা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মিনতি রানী দত্ত, সাংবাদিক মাজহারুল হক লিপু, সুরসপ্তক মাগুরার সত্যজিত চট্রপাধ্যয়সহ অন্যান্যরা।
এ ছাড়াও জাসদের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মৃধা খলিলুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলার জাসদের সাধারণ সম্পাদক নুুরুল আমীন, যুব জোটের সভাপতি শামীম শরীফ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুজ্জামান, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি আমীরুল ইসলাম সেতু নির্মম মৃত্যুর বিচার দাবি করে বক্তব্য প্রদান করেন।
গত ৪ এপ্রিল সন্তান সম্ভবা শায়লা রহমান সেতুকে সিজার করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে মাগুরার লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ঐদিন রাতে তার অপারেশন করেন ডা. জাফরিন আক্তার। কিন্ত ভুল অপারেশনের কারণে সেতুর শারীরিক অবস্থার চরম অবণতি ঘটলে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর রুগীর অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অভিভাবকদের বলা হয়। পরে দ্রুত ঢাকাতে নিয়ে পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে শায়লা রহমান সেতুকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সামবার (৮ এপ্রিল) মাগুরা সদর আমলী আদালতে মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করে এ মামলা করেছেন বাবা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ফিরোজ। মামলায় মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. শফিউর রহমান, তার স্ত্রী ডা. জাফরিন আক্তার, একই হাসপাতালের ডা. অরুণ কান্তি ঘোষ এবং ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডা. অনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।