মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : প্রত্যেকটি মানুষের নির্দিষ্ট পরিমানে ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে । আর ভিটামিন হলো সেই রকম একটি জৈব খাদ্য উপাদান যাহা স্বাভাবিক খাদ্যের মধ্যে স্বল্প পরিমানে থেকেও শরীরের বৃদ্ধি পুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে তোলো । তাই ভিটামিন ‘এ’ এর উপকারিতা অনেক । বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আছে যেগুলো আমদের শরীরে সংশ্লেষিত হয় । ভিটামিন এ তাদের মধ্যে অন্যতম ।
ভিটামিন এ এর উপকারিতা :
ভিটামিন এ হলো ফ্যাট সলুয়েবল কম্পাউন্ড উপাদান । তবে এটি একটি জেনেবিক টার্ম যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
ক্যান্সার প্রতিরোধের ভিটামিন এ এর উপকারিতা :
সাধারণত অস্বাভঅবিক কোষগুলি যখর অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বৃদ্ধি এবং বিকাশ রিভিউসং এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে ভিটামিন এ । পর্যবেক্ষণ মুলক গবেষণায় বিটা ক্যারোটিন আকারে ভিটামিন এ এর উচ্চ পরিমাণে সেবন কিছু নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের ঝুকি কমায় । যেমন হজকিরেন লিস্ফোমা ফুসফুস এবং মুত্রাশয় ক্যান্সার । তবে মনে রাখার বিষয় যে একমাত্র উদ্ভিজ্জ্ব উৎস থেকে পাওয়া ভিটামিন এ ক্যান্সার প্রতিরোধক । তবে প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া ভিটামিন কোন ভাবেই প্রতিরোধ মূলক কাজে সংযুক্ত নয় ।
অন্ধত্ব রক্ষায় ভিটামিন এ এর কাজ :
ভিটামিন এ অভাবের প্রথম লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হল রাতের অন্ধত্ব যা নিউকটালোপিয়া নামে পরিচিত । আর এ অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা ভিটামিন এ এর কাজ ।
সু স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন এ এর উপকারিতা :
ভিটামিন এ শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এতে চোখ ,ফুসফুস, অন্ত্র এবং জিন জগত শরীরের বাধা যা ব্যাকটিরিয়া এবং অন্যান্য সংক্রামক এজেস্টদের থেকে সৃস্ট তা আটকে রাখতে সহায়তা করে । আমাদের শরীরে ভিটামিন এ হোয়াইট ব্লাড সেল উৎপাদন করে যা আমাদের ব্রাড স্ট্রিম থেকে ব্যাকটিরিয়া এবং অন্যান্য প্যাথোজেন গুলি ক্যাপ্চার এবং পরিস্কার করতে সহায়তা করে ।
হাড় ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন এ :
আমদের বয়স অনুসারে স্বাস্থ্যেকর হাড়গুলি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় মূল পুষ্ঠি প্রোটিন ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি তবে সঠিক ভাবে হাড়ের বৃদ্ধি এবং বিকাশেরর জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন এ খেতে হয় ।
ভিটামিন এ এর রাসায়রিক নাম কি :
ভিটামিন এ আবিস্কার হয় ১৯৩১ সালে ও প্রথম পৃথকীকরণ এবং তৈরি হয় যথাক্রমে ১৯৩২ ও ১৯৪৭ সালে । এ খানে আমরা ভিটামিন এ এর রাসায়নিক নাম কি তা জানবো। ভিটামিন এ এর রাসায়নিক নাম রেটিনল যাহা রেটিনল নামক রাসায়নিক যৌগ বা ডায়েট সহায়ক হিসাবে ব্যবহার হয় ।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা :
খাদ্য হিসাবে আমরা বিভিন্ন উপাদান থেকে ভিটামিন এ সংগ্রহ করে থাকি । যেমন ফলমূল ,মাছ মাংস, ও সবুজ শাক সবজি । তবে এর পাশাপাশি ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা আছে । তাই আমাদের আদরের শিশুর বয়স যখন ৬ মাস হয় তখন থেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে ।
সূত্র : স্বাস্থ্য বার্তা বিভাগ