এস আলম তুহিন : নাম “কালোপাহাড়”। যার পুরো শরীর কুচকুচে কালো,পায়ের নিচের দিকটা কিছুটা সাদা-কালোর মিশ্রন। যেমন উচুঁ, তেমনি দেখতে। যে কেউ দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। এবারের কোরবানির ঈদে পশুটি বিক্রি করা হবে। প্রায় ২৮-৩০ মণ ওজনের এই কালোপাহাড়ের দাম চাওয়া হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
সুদর্শন কালোপাহাড়কে দেখতে বিভিন্ন স্থানের উৎসুক জনতা ভিড় করছে মাগুরায় সদর উপজেলার দেড়ুয়া গ্রামে জাফর শেখের বাড়িতে। কোরবানি যতই এগিয়ে আসছে ততই কালো পাহাড়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে চারদিক।
পেশায় কৃষক আবু জাফর শেখের পরম যত্নে লালিত এই গরুটি জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। দেহের গঠন ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নিজ বাড়িতে প্রায় ২ বছর ধরে লালন পালন করছেন তিনি। ইতোমধ্যে তার পোষা এ গরুটির দাম উঠেছে ৫-৬ লাখ টাকা। কিন্তু মালিক জাফর শেখ এ দামে ছাড়তে নারাজ। তার দাবি, এ দামে বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা উল্টো লোকসান গুনতে হবে। তাই একটু ভালো দামের অপেক্ষায় আছেন।
মালিক জাফর শেখ জানান, তিনি ২০ বছর ধরে গরু পালন করে ব্যবসা করছেন। নিজ বাড়ীতেই রয়েছে তার খামার। জমিতে ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি তিনি গরুটি জন্মের পর থেকে বাড়িতেই নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করে আসছেন। আদর যত্নে বড় করেছেন কালোপাহাড়কে। সময় মতো তিন বেলা করে ভূসি, ভুট্রার আটা, ধানের গুড়ো, ছোলা, গমের ভুসি,খুঁদ, নেপিয়ার ঘাস সঠিক মতো খাওয়াচ্ছেন।
প্রতিদিন তার এ ষাঁড় বাবদ ১ হাজার টাকা খরচ হয়। যত্নের কোনো ত্রুটিই করেননি। কালোপাহাড় একদম গরম সহ্য করতে পারে না। তাই ২৪ ঘন্টায় ফ্যান চালিয়ে রাখতে হয়। আর দিনে দুবার গোসল করাতে হয় বলেও তিনি জানান।
জাফর শেখ আরো জানান, নিজের বুদ্ধি, জ্ঞান ও মেধা খাটিয়ে পরিশ্রম করে পশু লালন-পালন করেছেন তিনি। নিজ পরিবারের সন্তানদের মতো করে গড়ে তুলেছেন তিনি কালাপাহাড়কে।
তবে কালোপাহাড়কে নিয়ে কিছুটা দুচিন্তা রয়েছেন জাফর শেখের। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে । বড় গরু কেনার মতো সচরাচর ক্রেতা ও ব্যবসায়ী মিলছে না। অন্যদিকে, চলতি হাট গুলোতে স্বাস্থ্যঝুকি থাকায় তিনি গরুটি হাটে নিয়ে যেতে নারাজ। ভালো দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করবেন বলে জানান আবু জাফর।