মুসাফির নজরুল: হতভাগ্য এক শিক্ষকের নাম নিমাই চন্দ্র রায়। দীর্ঘ ২৪ বছর শিক্ষকতা মহান পেশায় কর্মজীবন শেষে বেতন ছাড়াই অবসরে গেলেন তিনি। সত্যিই নিয়তির এ এক চরম নিষ্ঠুরতা। চাকরি জীবনের শেষদিনে তাই শিক্ষক নিমাই-এর চোখে ছিল বেদনা আর কষ্টের পানি। সেই কষ্টের খোঁজ কেউ নিতে আসেনি। নীতিপ্রণেতা থেকে সরকারের শিক্ষা কর্মকর্তা- কেউ খোঁজ নেয়নি অধিকার বঞ্চিত এই শিক্ষকের।নিমাই চন্দ্র রায়-এর বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার কালিনগর গ্রামে।
নিমাই চন্দ্র রায় শিক্ষকতা করতেন শ্রীপুর উপজেলার কালিনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ১০ সেপ্টেম্বর তার বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসরে যান। অধিকার বঞ্চিত শিক্ষক নিমাই চন্দ্র রায় জানান, আগে স্বনির্ভর বাংলাদেশ নামে একটি এনজিও’র ‘রুর্যাল এডুকেটর’ পদের চাকরি করতেন। শিক্ষকতা পেশার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ১৯৯৫ সালের ৫ জুলাই কালিনগর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত মাধ্যমিক শাখায় সরকারি বিধি মোতাবেক তিনিসহ দু’জন শিক্ষক যোগদান করেন। ১৯৯৮ সালে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্তও হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিদ্যালয়টির সকল প্রকার অবকাঠামো ও ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা পূর্ণ থাকা সত্ত্বেও ২৪ বছরেও বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক শাখা এমপিও ভুক্ত হয়নি।
তিনি জানিয়েছেন তার কাছে পাঠ গ্রহণ করে কত ছাত্র-ছাত্র আজ দেশের উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হলেও তার ভাগ্যে বেতন জোটেনি। বিদায় বেলায় জুটেছে শুধু নিজের চোখের পানি।