আজ, শনিবার | ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ভোর ৫:০২

ব্রেকিং নিউজ :
শ্রীপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজন-সংগ্রামের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ জমে উঠেছে শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন মাগুরায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ পড়ে কাঁদলেন শ্রীপুরের মুসল্লিরা মহম্মদপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় শিক্ষকের মৃত্যু মাগুরায় প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ মাগুরায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাহিদুর রেজা চন্দন ও নবীব আলী মহম্মদপুরে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন শালিখায় ৫ জনের মনোনয়ন পত্র জমা স্মৃতির আয়নায় প্রিয় শিক্ষক কাজী ফয়জুর রহমান স্মৃতির আয়নায় প্রিয় শিক্ষক কাজী ফয়জুর রহমান

মাগুরায় চাকরি ছাড়তে চাওয়ায় শ্রমিকের হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে ভাটা মালিক

মাগুরা প্রতিদিন : চাকরি ছেড়ে দিতে চাওয়ায় মাগুরায় খলিলুর রহমান নামে এক ইটভাটা মালিক নিজের ছেলেকে সাথে নিয়ে এক কর্মচারীর হাত-পা ও কলারবোন ভেঙ্গে দিয়েছেন।

মাগুরার সদর উপজেলার উথলি গ্রামের শফি মোল্যার ছেলে রাকিবুল ইসলাম জনি (২৭) নামে ওই ভাটা শ্রমিককে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রাকিবুল ইসলাম জনি জানান, তিনি খলিলুর রহমানের ইটভাটায় স্কেবেটার চালকের কাজ করে থাকেন। শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে জ¦ালানী তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় স্কেবেটর বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় তিনি ভাটা ম্যানেজার আলিমের কাছে তেল চাইলে সে ভাটায় রাখা ড্রাম থেকে তেল নিতে বলেন। কিন্তু জনি সেখান থেকে তেল নিতে গেলে ভাটা মালিকের ছেলে আল আমিন তাকে অন্যায়ভাবে গালমন্দ করে। এ ঘটনায় সে ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে ভাটা মালিক খলিলুর রহমান ও ছেলে আল আমিন বাঁশের লাঠি নিয়ে তাকে বেধড়ক পিটুনি দেয়।

রাকিবুল ইসলাম জনি বলেন, আমার বাবা শফি উদ্দিন মোল্যা একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। বাড়িতেই পড়ে থাকেন। এ অবস্থায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই আমি। অথচ অন্যায়ভাবে ভাটা মালিক ও তার ছেলে আমাকে পিটিয়ে হাতপা ভেঙ্গে দিয়েছেন।

রাকিবুলের স্ত্রী তৃপ্তি খাতুন স্বামীর উপর নির্যাতনের ঘটনায় বিচার দাবি করেছেন।

এদিকে স্কেবেটর চালক রাকিবুল ইসলাম জনির উপর হামলার বিষয়ে ভাটা মালিক খলিলুর রহমান বলেন, ছেলের সঙ্গে ঝগড়া করে সে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে চলে যাচ্ছিল। এতে আমার ভাটা অচল হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কথা না শোনায় রাগান্তিত হয়ে ছেলের সাথে আমিও তাকে মারধর করেছি। কিন্তু তার হাত-পা ভেঙ্গে গেছে কিনা জানিনা।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন...




©All rights reserved Magura Protidin. 2018-2022
IT & Technical Support : BS Technology