মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মোবাইল কনফারেন্সিং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের দায়ে অভিযুক্ত ৩ পরীক্ষার্থীসহ মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ফাহিম ফয়সাল রাব্বি এবং অপর দুই সহযোগির নামে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
মাগুরা এজি একাডেমী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তাদুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার মাগুরা সদর থানায় মামলাটি করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলার অন্যান্য আসামীরা হচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম ফয়সাল রাব্বির চাচাতো ভাই শহরের ইসলামপুরপাড়ার বাসিন্দা ইফতেখারুল ইসলাম টিটো, তার স্ত্রী তারানা আফরোজ, মহম্মদপুর উপজেলার বাসিন্দা ইসমত আরা ঝরণা, একই উপজেলার আমিনুল হাসান সোহেল ও তার বোন শাহানা বেগম।
আসামীদের মধ্যে তারানা আফরোজ, ইসমত আরা ও আমিনুল হাসান সোহেল পরীক্ষার্থী। অন্যরা ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বে সহযোগিতাকারী।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, এজি একাডেমী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখিত ছয় আসামীকে শুক্রবার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে আটক করা হয়। পরবর্তিতে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও সহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ওই অপরাধের সঙ্গে আরো কেউ কেউ জড়িত আছে কিনা পরবর্তী তদন্তে সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শুক্রবার মাগুরা সদর উপজেলার এজি একাডেমী বিদ্যালয় কেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী তারানা আফরোজ নামে একজন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ব্যাংকিং ক্রেডিট কার্ডের আকারে তৈরি মোবাইল ডিভাইসটি। তারই সূত্র ধরে আটক হয় অপরাপর অভিযুক্তরা। তারানা আফরোজ ছাত্রলীগ নেতা রাব্বির চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী।
অব্যবহৃত ক্রেডিট কার্ডে ঢেকে রাখা এই ডিভাইসটি একটি মোবাইল কনফারেন্সিং ডিভাইস। নির্দিষ্ট কোনো স্থান থেকে প্রশ্নের উত্তর বলা হলে এই ডিভাইস ব্যবহৃত সকল পরীক্ষার্থী একযোগে সেটি সংগ্রহ করতে পারে।
এটি সারাদেশ ব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রশ্নপত্র জালিয়াতি চক্রের ব্যবহৃত আধুনিক একটি প্রযুক্তি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।