আসমা মিলি : সন্তান যার নেই সেও সঠিকভাবে সন্তান লালনপালনের যোগ্যতা রাখে। অথচ অনেক বাবা মা সন্তান যত জন্ম দিতে পারেন কিন্তু সঠিকভাবে সন্তান লালনপালন করতে পারেন না। সন্তানের শারীরিক মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হচ্ছে কি না তা তাদের বোঝার ক্ষমতা নেই।
বয়সের বিভিন্ন ধাপে একটি শিশুর যেমন শারীরিক পরিবর্তন হয়, তেমনি মানসিক পরিবর্তন হয়। বাবা মা সন্তানের প্রতি অন্ধ স্নেহে মনে করে তার শিশুটি একটু বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে। বিষয়টি সঠিক নয়। স্বাভাবিক ভাবেই সকল ধাপের পরিবর্তন হতে হবে। যদি না হয় বুঝতে হবে শিশুটির শারীরিক সমস্যা রয়েছে।
কিছু মা আছেন যারা বাচ্চার খাওয়ানো ছাড়া কিছু বোঝেন না। বাচ্চা যে খাবার পছন্দ করছে তা তার জন্য সুষম কিনা কিংবা স্বাস্হ্যকর কি না তা না বুঝেই মা ইচ্ছে মত খাওয়াতে থাকেন। শিশুর সঠিক ওজনের দিকেও খেয়াল থাকে না। খাওয়ার আধিক্য, অসচেতনতা, শারীরিক কসরতের অভাবে একটি শিশুর ভবিষ্যৎ শেষ করে দেয় নির্বোধ বাবা মা। সরি নির্বোধ শব্দটা ব্যবহারের জন্য। কিছু অভিজ্ঞতায় বলতে বাধ্য হই।
শিশুর সময় সচেতনতা, খাদ্যাভ্যাস, জীবন যাপন পদ্ধতি, মানসিক গঠন সব কিছু তৈরী হয় মায়ের শিক্ষার উপর। নিজেকে গুনি, শিক্ষিত, বিশাল কিছু ভাবা এক ধরনের মূর্খতা। যা অনেক নারীর মধ্যে প্রবল। যে কারণে কোন কিছু শেখার মানসিকতা তাদের থাকে না। অহংকার বড় সম্পদ এ সকল নারীগনের। মাশুল দেয় মানব শিশু। শিশু, কিশোর, যৌবনের ধাপ গুলো তে শিশুর মানসিক বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত সেটাও বোঝানো কঠিন এদের। শিশুর জন্য অন্ধকার, অসুস্হ, অনিশ্চয়তায় ধাবিত এক ভবিষ্যত যখন নিশ্চিত হয়ে যায় তখন বাবা মার আফসোস করা ছাড়া কিছু থাকে না।
আসমা মিলি: সাবেক এসপি, রাজবাড়ী জেলা