মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরার প্রয়াত কবি বিএমএ হালিমের পরিবারকে সম্মাননা, আলোচনা এবং লালন সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শনিবার রাতে শেষ হলো মাগুরা সৈয়দ আতর আলী গণগ্রন্থাগার চত্ত্বরে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী বই মেলা।
কবিতা, গান, সঙ্গীত ছাড়াও সাহিত্য নির্ভর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গত ৭ দিন জমজমাট আসর জমে সৈয়দ আতর আলী গণগ্রন্থাগার চত্ত্বরে।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ৭ মার্চ মাগুরা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজিত এ বই মেলার উদ্বোধন করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর।
মেলার ১৫টি স্টলে স্থানীয় লেখক সাহিত্যিকদের প্রকাশিত বইয়ের পাশাপাশি দেশ বিদেশের বিভিন্ন লেখকদের বই বিক্রয় ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনকে ঘিরে জেলার সাহিত্যপ্রেমিদের মিলন মেলা ঘটে গ্রন্থাগার চত্ত্বরে।
শনিবার বই মেলার সমাপনী দিনে গ্রন্থাগার চত্ত্বরের উন্মুক্ত মঞ্চে দুটি পর্বের আয়োজন করা হয়। সৈয়দ আতর আলী গণগ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাসির বাবলুর সভাপতিত্বে প্রথম পর্বে মাগুরার প্রয়াত কবি বিএমএ হালিমের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মাগুরার নবগঙ্গা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের শ্রষ্টা খ্যাতিমান এই ব্যক্তিত্বের সাহিত্য কর্মের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন মাগুরা জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলম, মাগুরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহি আবদুল হালিম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান, কবি মিয়া ওয়াহিদ কামাল বাবলু, প্রেসক্লাব সম্পাদক শামিম খান, ডাক্তার কাজী তাসুকুজ্জামান প্রমুখ বক্তারা।
জীবদ্দশায় ২০০৬ সলে নিজের মৃত্যু ভাবনা নিয়ে বিএমএ হালিমের লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন তার জ্যেষ্ঠ পূত্র আবৃত্তিকার বিএম সুজন।
স্মরণসভা শেষে প্রয়াত কবি’র পরিবারের হাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন মাগুরা জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলম।
সমাপনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বই মেলার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন অতিথিরা। পরে কুষ্টিয়া থেকে আগত লালন শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত এই মিলনমেলার।